Lesson 4
৪র্থ অধ্যায়
HTML ট্যাগের নাম ও ব্যবহার -
১। HTML এ কমেন্টস লেখার সিনট্যাক্স কী?
উঃ HTML এ কমেন্টস লেখার সিনট্যাক্স হলো <!--......--> ।
২। ওয়েব পেইজ বলতে কী বুঝায়?
উঃ ওয়েব পেইজ বলতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের উপযোগী করে কোন তথ্য সার্ভারে সংরক্ষন করে রাখা ফাইলকে বুঝায়।
৩। ওয়েব পেইজ তথ্যের এক ধারক- বিশ্লেষণ কর।
উঃ ইন্টারনেট এক বিশাল তথ্য ভান্ডার। বিভিন্ন তথ্য ও ডেটা ওয়েব পেইজ এ থাকে এবং ওয়েব পেইজ সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। একাধিক ওয়েব পেইজ এর সমন্বয়ে একটি ওয়েবসাইট গঠিত হয়। এ ধরনের অসংখ্য ওয়েবসাইট সার্ভারে রক্ষিত থাকে। এখান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে খুজে পেতে পারে। তাই বলা যায় যে, ওয়েব পেইজ তথ্যের এক ধারক।
৪। URL কী? এর বিভিন্ন অংশগুলো উপস্থাপন কর।
উঃ ওয়েব পেইজ এর অ্যাড্রেসকে URL (Uniform Resource Locator) বলে। URL হলো ওয়েবসাইটের ঠিকানা। এর বিভিন্ন অংশগুলো নিম্নরুপ -
Sub-domain domain name ↧top level domain
Protocol file
path
৫। http এর কাজ লেখ।
উঃ http এর কাজ হলো -
ক) সার্ভারের সাথে ব্রাউজারের সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা।
খ) ব্রাউজারের যে কোন অনুরোধ সার্ভারে পৌছে দেওয়া।
গ) অনুরোধক্রমে ওয়েব পেইজকে সার্ভার থেকে ব্রাউজারে নিয়ে আসা।
ঘ) ব্রাউজার ও সার্ভারের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।
৬। ওয়েব পেইজ স্ট্রাকচার আলোচনা কর।
উঃ ওয়েব পেইজ স্ট্রাকচারের মধ্যে কয়েকটি স্ট্রাকচার আলোচনা করা হলো-
১) হায়ারারকিক্যাল - যে ওয়েব পেইজ স্ট্র্রাকচার প্রতিটি বিষয়কে মেইন পেইজ থেকে সাব পেইজ এবং সাব পেইজ থেকে বিশদ বর্ণনা পেইজ এ নিয়ে যায় তাকে হায়ারারকিক্যাল ওয়েব স্ট্রাকচার বলে।
২) লিনিয়ার - যে ওয়েব পেইজ স্ট্রাকচার প্রতিটি পেইজকে অনুক্রমিক ভাবে উপস্থাপন করে তাকে লিনিয়ার স্ট্রাকচার বলে। এধরনের স্ট্রাকচারে next, previous, back, top, last ইত্যাদি লিংক বিভিন্ন পেইজ এ যাতায়াত এর জন্য ব্যবহার করা হয়।
৭। ডোমেইন নেম কী? এর বিভিন্ন অংশগুলো আলোচনা কর।
উঃ প্রতিটি ওয়েব সাইটের একটি করে নির্ধারিত IP Address থাকে। IP Address এর আক্ষরিক বর্ণনাকে ডোমেইন নেম বলে। এটি ঐ ওয়েবসাইটের নিজস্ব নাম যা অন্য কোন সাইটের নামের সাথে কখনোই মিলবে না। ডোমেইন নেম এর বিভিন্ন অংশগুলো নিম্নরুপ-
৮। ডোমেইন নেম কিনতে হয় কেন?
উঃ প্রতিটি ডোমেইন নেমকে ডিএনএস এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা হয় যা একটি ইউনিক আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে চিহ্নিত করে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের স্বতন্ত্র তৈরির জন্য ডোমেইন নেম কিনতে হয়।
৯। এলিমেন্ট ও কন্টেন্ট কী?
উঃ এইচটিএমএল এর শুর ও শেষ ট্যাগের ব্যবহৃত বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে এলিমেন্ট বলে।
<p
> </p
>
এবং শুরু ও শেষ ট্যাগের মাঝে যা লেখা হয় তাকে কন্টেন্ট বলে।<p
> বাংলাদেশ </p>
১০। অ্যাট্রিবিউট কী? অ্যাট্রিবিউট লেখার নিয়ম লিখ।
উঃ HTML এর এলিমেন্ট এর অতিরিক্ত তথ্য প্রকাশ করার জন্য যে বর্ণ সমষ্টি শুরুর ট্যাগে ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যাট্রিবিউট বলে। যেমন- <img src= “logo.jpg ”/>
name
value
Tag Attribute
অ্যাট্রিবিউট লেখার সময় প্রথমে অ্যাট্রিবিউট নেম লিখে = চিহ্ন দিয়ে এর পর উদ্ধিৃতি “ ” কমার মাঝে ভ্যালু লিখতে হয়।
১১। মিঠুন তার প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। এখানে যে কোন ব্যক্তি নির্ধারিত ফর্মে তাদের নাম রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে। উক্ত ওয়েবসাইটটিতে ব্যবহারকারীগণ সরাসরি তাদের প্রয়োজনীয় পেজে যেতে পারে আবার এক এক করেও ধাপে ধাপে যেতে পারে। এখানে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য শুধু ব্যবহারকারীর নাম, ইমেইল, জন্ম তারিখ এবং তার পাস ওয়ার্ড প্রয়োজন হয়। যে কেউ সার্চ ইঞ্জিনেwww.need.com লিখে সার্চ দিলে এই সাইটটি দেখতে পাবে।
ক) ডোমেইন কী কী ধরনের হয়ে থাকে?
উঃ ডোমেইন সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন - ১. কান্ট্রি ডোমেইন ২. জেনেরিক ডোমেইন।
১. কান্ট্রি ডোমেইন - .us – United States, .bd - Bangladesh
২. জেনেরিক ডোমেইন - .1.
com –
commercial, .org – organizational, .edu – educational
খ) একটি ওয়েবসাইট পাবলিশ করতে প্রয়োজনীয় কার্য পদ্ধতি আলোচনা কর।
উঃ একটি ওয়েবসাইট পাবলিশ করতে হলে যে কাজগুলো আমদের করতে হবে তা নিম্নরুপ -
১. ওয়েব পেইজ তৈরিঃ প্রথমে আমাদের একটি ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়েবপেইজ ডিজাইন করতে হবে।
২. ডোমেন নেম রেজিষ্ট্রেশনঃ একটি ওয়েবসাইট তৈরির পর এদের একটি নাম নির্ধারন করতে হয়। প্রতিটি ডোমেইন নেমকে ডিএনএস এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা হয় যা একটি ইউনিক আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে চিহ্নিত করে।
৩. ওয়েবসাইট সার্ভারে হোস্টিংঃ ওয়েবসাইট তৈরি ও ডোমেইন নেম রেজিষ্ট্রেশনের পর এক একটি নির্ভরযোগ্য সার্ভারে হোস্ট করতে হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অর্থের বিনিময় হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে।
৪. ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত করাঃ ওয়েবসাইটটিকে অধিক প্রচারমুখী করার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত করতে হবে। এর ফলে ওয়েবসাইটটিকে সারা বিশে^ দেখতে পাওয়া যাবে।
গ) উদ্দীপকের ইউ আর এল টির পূর্ণরুপ লিখ এবং এর বিভিন্ন অংশ বর্ণনা কর।
উঃ ইউ আর এল টির পূর্ণরুপটি হলো-
Sub-domain domain name top level domain
Protocol file
path
ঘ) উদ্দীপকের রেজিষ্ট্রেশন ফর্মটি মার্কআপ ভাষার মাধ্যমে উপস্থাপন কর।
উঃ উদ্দীপকের রেজিষ্ট্রেশন ফর্মটি মার্কআপ কোডের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলো-
<html>
<head>
<title>need</title>
</head>
<body>
<table border= “2” align=
“center”>
<h2
align= “center”>Registratio Form</h2><br><br>
<tr>
<td>
Name :
<input type =
“text” placeholder = “user name”/> <br><br>
E-mail :
<input type =
“text” placeholder = “email”/> <br><br>
Date of Birth :
<input type =
“date” /> <br><br>
Password :
<input type= “ password”
placeholder= “password”/> <br><br>
</td>
</tr>
</table>
</body>
</html>
ঙ) টেবিল ও লে-আউট এর মধ্যে মিল দেখাও।
উঃ একটি ওয়েবসাইটে বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান যেমন- টাইটেল, হেডিং, টেক্সট, ইমেজ, লিংক ইত্যাদি কোনটি কোথায় কীভাবে থাকবে তার পরিকল্পনা বা ছক হচ্ছে লে-আউট বা অবকাঠামো।
ঠিক একই ভাবে টাইটেল, হেডিং, টেক্সট, ইমেজ, লিংক ইত্যাদি ওয়েব পেইজের মধ্যে টেবিল আকারেও প্রকাশ করা যায়।
অর্থাৎ টেবিল ও লে-আউট উভয়ই ওয়েব পেইজের কন্টেন্ট এরিয়া স্ট্রাকচার।
চ) উদ্দীপকের ওয়েবসাইটটির স্ট্রাকচার বর্ণনা কর।
উঃ উদ্দীপকে উল্লেখিত ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারী প্রয়োজনে সরাসরি এক পেইজ থেকে অন্য পেইজে যেতে পারে আবার একটি মেইন পেইজ এর সাবপেইজ গুলোতে অনুক্রমিকভাবেও যেতে পারে। এখানে একাধিক স্ট্রাকচারের ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এটি একটি হাইব্রিড ওয়েব স্ট্রাকচার।
ৃুু
Comments
Post a Comment